কিছু কথা…..

নতুন বছর এসে গেল। আসবেই তো। ওর তো আর কোন পিছুটান নেই।শুধুই চোখ বন্ধ করে এগিয়ে যাওয়া। উফ কোত্থেকে কোথায় এসে পরলাম। আসলে বই পরার এই এক ঝামেলা। সব কিছুতেই ভাবুক ভাবুক ভাব চলে আসে।যাই হোক, অনেক দিন পর লিখতে বসলাম।

পুরানো বছরটা ভাল খারাপ মিলানো একটা বছর ছিল। কিন্তু হ্যাঁ, বছরের শেষটা অনেক অন্যরকম ছিল। এই experience এর কথাই লিখছি।

আমি ২৬শে ডিসেম্বর বাসা থেকে বের হয়ে গিয়েছিলাম। মানে আর কি ভাইয়ার সাথে রাগ করে ব্যাগ ট্যাগ গুছিয়ে ভো কাট্টা। এটা আমার জন্যে যতটা adventurous ছিল, ঠিক ততটাই ভয়ংকর ছিল আমার family এর জন্যে। আমি জানি যে আমি যে কাজ টা করেছি তা ঠিক করিনি। আবার আমার মতে এটুকু না করলে হয়ত এই নতুন বছরটা এত নতুন ভাবে শুরু হত না।

এবার মূল কথায় আসি।বাসা থেকে বের হয়ে সোজা বাসে উঠে বাড়িতে চলে গিয়েছিলাম। কয়েকদিন দারুণ মজা করে আসলাম। যদিও বাসে উঠা থেকে নামা পর্যন্ত আমি অত্যন্ত উদ্বিগ্ন ছিলাম। কারন আমি প্রথমবারের মত একা এতদূর ভ্রমন করলাম। ভাগ্যের কৃপায় বাড়ির রাস্তা টা আমার চেনা ছিল। এবং আল্লাহর ও রহমত ছিল যে পথে কন বিপদে পরিনি। বাড়িতে গিয়ে একটা কাজ ই করেছি। সেটা হল movie দেখা। ওখান থেকে আমি ইন্ডিয়ান বাংলা ছবির ছোটখাটো বিশেষজ্ঞ হয়ে এসেছি। আরেকটা কাজ করেছি। সেটা হল byke চালানো শেখা। ইনশাল্লাহ আরেকবার বাড়িতে গিয়ে skilled হয়ে আসব। 😀

♥ ♥ ♥ ღ ღ ღ বই……বই……বই ღ ღ ღ ♥ ♥ ♥

সিস্টার শিখা প্রতি বছর “নিজের সাথে কিছুক্ষন” নামে একটা report লিখতে দেন।আমদের সময় ও এর ব্যাতিক্রম হয়নি। পুরো report  টা আমি লামিয়ার বড় বোন সাদিয়া আপুর টা copy/paste  করেছিলাম। শুধুমাত্র একটা প্রশ্নের উত্তর আমার নিজের ছিল। প্রশ্নটা হল,” তোমার প্রিয় ৫ টি বাংলা, ৫ টি ইংরেজী শব্দ লিখ।”

এই প্রশ্নের উত্তর নিয়ে আমি অনেক চিন্তা করেছি।অনেক অনেক চিন্তা। বাংলা শব্দের প্রথম শব্দটি ছিল “মা”, দ্বিতীয় শব্দটি ছিল বই। 😀

হ্যাঁ,বই। আমার family member রা তো বলেই,ফামিলের সাথে বইগুলো যেন superglue দিয়ে চিপকায়ে দেওয়া হয়েছে। 😀

আমি মনে করি,শুধুমাত্র মা আর বই নিয়ে আমি সারা জীবন কাটিয়ে দিতে পারব। আমার মনে আছে , ছোটবেলায় আমি অতি আগ্রহ নিয়ে পড়াশুনা শিখেছিলাম কারন আমার নানুভাই , আমাকে বলেছিলেন পড়াশুনা শিখলে বই পড়া যায়। আমি মূলত বই পড়ার জন্যেই পড়াশুনা শিখেছি।

আমার এতটুকু জীবনে বই নিয়ে যে কত ঘটনা আছে,তা হয়ত গুনে শেষ করা যাবে না !!!!!!!!!!!!!!! তবুও যেগুলো মনে পড়ছে সেগুলো বলি………… আমার নানুভাই কতগুলো মোটামুটি জনপ্রিয় রুপকথার লেখক।আমার মনের চিপায় ছোটখাটো একটা কষ্ট আছে যে আমি তার বইগুলো সংগ্রহ করতে পারিনি। এখনও frnd-দের বাসায় গেলে উনার বইগুলো দেখলে অনেক ভালো লাগে আবার অনেক কষ্টও লাগে।তার লিখা “পাহাড়ি কন্যা” গল্পটা আমার alltym favourite……..এই গল্পের বইগুলোর সবগুলোর উৎসর্গ ছিলাম আমি।সেরকম একটি বইয়ের উৎসর্গে আমার নাম এসেছিল “আফসানা ফাইজা কামিল।”এবং কেমন করে জানি ওই বইয়ের ঐ page টা এখনও আমার কাছে আছে।

আমার বান্ধবীরা আমার বাসায় এলে অনেক অবাক হয়।কারন আমার বাসায় কোন বই নেই। কোন বই নেই মানে হচ্ছে, বই পড়ুয়াদের বাসায় যেরকম ঘটা করে book-shelf  থাকে।এবং ঘটা করে সেই book-shelf  ভর্তি করা হয় তার কোন ব্যাবস্থা নেই। আমার মা-বাবা আমার বই পড়া রোগ নিয়ে অত্যন্ত দুশ্চিন্তিত। তাই তারা যতদূর সম্ভব আমাকে বইয়ের থেকে দূরে রাখতে চেষ্টা করে। তাছাড়া আমার মামার একটা বইয়ের দোকান আছে। তাই আমাকে কষ্ট করে কোন বই কিনতে হয়না। দোকান থেকে বইয়ের এনে পড়ে আবার দিয়ে দিই। তাই আমার বাসায় তেমন কোন বই নেই।

হ্যাঁ, বই আছে। এই বই থাকারও আরেক ইতিহাস। ক্লাস 4 থেকে আমি সেবা প্রকাশনীর বইয়ের প্রতি addicted হয়ে পড়ি। অবশ্যই আমার প্রথম step  ছিল তিন গোয়েন্দা। সেই 4 থেকে 7 পর্যন্ত তিন গোয়েন্দার প্রত্যেকটি ভলিউম আমি পড়ে শেষ করেছি। এই ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি সাহায্য আমি পেয়েছি মামার দোকান থেকে। ১-৯৯ ভলিউম পর্যন্ত মোটামুটি আমি মুখস্ত করে ফেলেছিলাম। আমার তিন গোয়েন্দার রকিব হাসানের গল্পগুলোই বেশি ভালো লাগত। ৯৯-এর পর থেকে সব শামসুদ্দিন আঙ্কেল লিখা শুরু করেছিল, তাই পড়া বাদ দিয়েছি। এরপর দ্বিতীয় step- মাসুদ রানা। 7 এর মাঝখানে থেকে আমি মাসুদ রানা ধরলাম। এখন সমস্যা হচ্ছে ,মামা তো আমাকে মাসুদ রানা পড়তে দিবে না। এর মধ্যে আমি আবার পুরোপুরি addicted হয়ে গেছি। তাই বাধ্য হয়ে চুরিপন্থা অবলম্বন করলাম। চুরিপন্থা মানে টিফিনের টাকা বাঁচিয়ে বই কেনা। পুরো 7-8 আমি এই চুরি পন্থায় মাসুদ রানা পড়েছি। এবং এই বইগুলোই একমাত্র আমার বাসায় আছে। আমার কত বই যে আমি ছিঁড়ে ফেলে দিয়েছে। বইয়ের ভিতর নিয়ে পড়ার সময় কত যে ধরা খেয়েছি। এখন একটা ঘটনার কথা মনে পড়ল।

সময়টা ক্লাস-8 এর দ্বিতীয় সাময়িক পরীক্ষা। পরেরদিন বাংলা পরীক্ষা। রাত ৩ টা। আমি সামনে খাতার পাহাড়ের মাঝে harry potter and the goblet of fire লুকিয়ে পড়ছিলাম। তখন আবার আমার বাবা বাসায় ছিল। বাবা যে কখন উঠে এসে আমার পিছনে দাঁড়িয়েছে আমি খেয়াল করিনি। আমার তো পরীক্ষায় পাস করার ইচ্ছাই ছিল না। কারন আমি humanities এ পড়তে চেয়েছিলাম। তাই পুরোপুরি পড়াশুনা ছাড়া পরীক্ষাগুলো দিয়ে যাচ্ছিলাম। কিন্তু বাবা এসেই তো রেগে ভোম। বইটই ছিরে একাকার করে ফেললো আমি আব্বুর রাগের চেয়ে বেশি বইটা নিয়ে মন খারাপ করেছিলাম। কারন বইটা ছিল class-mate এর। যাই হোক পরে manage করে বইটা ওকে কিনে দিয়েছিলাম।

স্কুলে আমি প্রত্যেক ক্লাসে বই নিয়ে ধরা খেয়েছি। এই বই যে মিসরা কতবার seize করেছে!!!!!!! সেইদিন শুনলাম roseline miss নাকি 9 এর ক্লাস এ এরকম এক বই ধরা অভিযানের সময় আমার কথা বলছিল। শুনে অনেক ভালো লাগলো।

এইমাত্র পায়ের উপর লেপ টেনে নিলাম।এবং এই লেপের কিহিনীও মনে পড়ে গেল। আমার জন্যে একবার লেপ নামানো হলে সেটা ছয় মাসের আগে উঠানো হয়না। কারন লেপের নিচে mobile এর আলো দিয়ে চুরি করে বই পড়া আমার অভ্যাস। 😀

বই আমার সবচেয়ে প্রিয় উপহার। এই কথাটা কেউ জানে না যে বই উপহার পেলে আমি সবচেয়ে বেশি খুশি হই। তার উপর বই যত স্বাস্থ্যবান হবে তত আমার আনন্দ বেশি হবে। আমার জীবনে আমি ২ বার বই উপহার পেয়েছি। একবার দিয়েছে বউমা। ২০০৪ সালে ১ম ডিসেম্বর মামার বিয়ে হয় এবং  reception হয় ২৪শে ডিসেম্বর। ঐদিন বউমা বাসায় এসে সবার আগে আমার হাতে বই ধরিয়ে দেয়। আমার কাছে one of the best memory হচ্ছে এই ঘটনা।

আরেকবার gift দিয়েছিল আশিক মামা। হুমায়ূন আহমেদ- এর কিছুক্ষন এবং কৃষ্ণপক্ষ। আমার সবচেয়ে favorite বইগুলোর মধ্যে দুইটি।

বইয়ের কথা বলতে হলে আরও বলতে হয় বইমেলার কথা। আমি গত ৩ বছর ধরে বইমেলায় যাইনি। বিশ্বাস করা কঠিন হলেও সত্যি যে আমি আমার lyf-এ মাত্র ২ বার বইমেলায় গিয়েছি। ক্লাস 6 এবং 7 -এ। 8,9-এ যাইনি কারণ ঐ বছরটা আমার পড়াশুনার জন্যে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ছিল। ক্লাস 10 ও same……এই বছর তো ssc xm এ ছিল। তাছাড়া আমার মা-বাবা এবং নানুমনি আমার বই পড়া ভাল চোখে দেখেন না। তাই আমাকে still লুকিয়ে বই পড়তে হয়। 😦

এইটুকুই এখন মনে পরছে…আর কিছু লিখতেও ইচ্ছা করছে না।

 

সব কটা জানালা খুলে দাও না………♥ ♥ ♥

গানটা শুনলেই কেন জানি অনেক কান্না পায়।চোখের পানি আটকানো কষ্টকর হয়ে পরে। এই গানটার সাথে সাবিনা ইয়াসমিনের voice-টা পুরোপুরি match।

suddenly এই গানটার কথা লিখছি………আসলে suddenly না………আজকে ক্লাস করের সময় গানটা শুনলাম। পুরাই senti হয়ে গেলাম।

আজকে ছিল holy cross school এর বার্ষিক result। school এ সাধারনত result দেওয়া হয় ১৬ই ডিসেম্বরের পর। তাহলে ,এক ঢিলে দুই পাখি মারার মত , বিজয় দিবস আর annual function টা একসাথে হয়।এই অনুষ্ঠানেই ৫২-র ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে ৭১-এর মুক্তিযুদ্ধ পুরাটা তুলে ধরা হয়েছে।আমরা act টা দেখতে পারিনি। ক্লাস চলছিল। কিন্তু গানগুলো স্পষ্ট শোনা যাচ্ছিল।আমার কাছে ক্লাস করার চেয়ে গানগুলোই বেশি enjoyable ছিল।তাই hoody তুলে দিয়ে চোখ বন্ধ করে গান  enjoy করছিলাম।

আরও মজা লাগলো , গানগুলো চলার সময়ই আফরিন মিসের বাংলা ক্লাস শুরু হল।মিসের আবার পড়ানোর বিষয় ছিল “বাংলাদেশ” কবিতাটি।

এই মিস কে নিয়ে কিছু বলে আবার আগের প্রসঙ্গে যেতে চাই।আমাদের কলেজের কিছু বিচ্ছিরি  rules এর মধ্যে একটা  হল বাংলা আর english এর জন্যে ৪-৫ টা teacher। এর মধ্যে (আমার মতে) best teacher হচ্ছেন আফরিন আহাদ মিস।wot a great personality!!!!!! মিসের কথা গুলো শুনলে শুধু শুনতেই ইচ্ছা করে। সবচেয়ে মজা লাগে,মিসের insult করার style। মস যে actually ভদ্র ভাষায় আমাদের ধিক্কার দিচ্ছে তা আমরা হাতে গোনা কয়েকজন ছাড়া বুঝতে ই পারে না। তাছাড়া মিসকে আমার এই জন্যেও ভাল লাগে যে, উনার point of view যেন একেবারে  same to same………

মিসের কথা এখানেই stop করা উচিত।উনার কথা অন্য কোন লেখায় details এ বলতে হবে। এখন আগের কথায় ফিরে আসি।

মিস যখন “বাংলাদেশ” কবিতা তখন ই গানগুলো শুরু হয়েছিল। পড়ার বিষয়বস্তুর সাথে পুরোপুরি মিলে গেল।মিস ও আমাদের সুবিধার  জন্যে গানগুলোর প্রেক্ষাপটের সাথে মিলিয়ে কবিতা পড়ানো শুরু করলেন।মিস ৭১-এর ব্যাখ্যা দেওয়ার সময় একটা বইয়ের কথা বলল। বইতা কিশোর পারেক নামে একজন photojournalist সিঙ্গাপুর থেকে প্রকাশ করেছিলেন। স্বাধীনতার সত্য ছবিগুলো ছিল এখানে। এই বইয়ের যতগুলো কপি বাংলাদেশে  ছিল তার একটি বাদে সবগুলো নষ্ট করে ফেলা হয়েছে। এই বইয়ের একমাত্র কপিটি আছে মিসের বোনের husband এর কাছে। আমার এখন মিসের কাছ থেকে বই টি নিয়ে দেখতে প্রচণ্ড ইচ্ছা করছে। দেখি মিসকে প্রস্তাব দিয়ে, মঞ্জুর করেন কিনা।

আরও এক্তা মজার co-incident হল,তখন আমি দস্যু বনহুরের যে অংশে ছিলাম সেই অংশেও বনহুর বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিতে এসেছিল।এই কাকতালীয় ব্যাপার তা আগে লক্ষ্য করিনি। এই মাত্র বইটার দিকে চোখ পড়ল তাই মনে পরল।

দারুণ মজা পেলাম co-incident টায়।

আমরা কি সত্যিই স্বাধীন…!!!!!!!!!!!!!!

আজকে ঘুম থেকে উঠে মেজাজটা খারাপ হয়ে গেল। সকাল সকাল শুরু হয়ে গেছে ভাষণ।এই ভাষণ কি শুধু ১৬ই ডিসেম্বর এর জন্যেই specially তুলে রাখা হয়!!!!!!!!!………..সারা বছর কি কেউ একবারের জন্যেও এটা শোনে!!!!!!!!……

এই কথা গুলো ১৬ই ডিসেম্বর রাতে লিখে draft এ save করে চলে গিয়েছিলাম। এইটুকু লিখেই সব কথা  মনে পরে মেজাজ খারাপ হয়ে গিয়েছিল।আজকে তাই লিখাটা শেষ করতে বসলাম।

স্বাধীনতা……এই শব্দটা শুনলেই আমদের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের কথা মনে পরে। সেই শহীদদের আত্মত্যাগের কথা।সেই সময়ের মা বোনদের অসহনীয় কষ্টের কথা।আরও কত ঘটনা যে আছে পর্দার পিছনে। চিন্তা করলেও শরীর শিরশির করে ওঠে।

কিন্তু আমার মনে এর পরেও কিছু কথা আসে।আমার নানুভাই এবং চাচ্চু ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা। তারা কি আজকের দিনের জন্যে এতো কষ্ট করে যুদ্ধ করেছে।আমার আজকের বাংলাদেশ দেখে অনেক কান্না আসে।সবচেয়ে বেশি কষ্ট লাগে যখন দেখি মানুষকে দেখি রাস্তাঘাট নোংরা করতে।আমি কেন জানি এই জিনিসটা দুই চোখে দেখতে পারিনা।

আরেকটা মজার জিনিস মনে পরল।lovebird দের কথা……

ওইদিন ইংলিশ স্যার এর কচিন-এ যাওয়ার জন্যে বের হয়েছি।জায়গাটা হচ্ছে elephant road-এ।আম্মুর সাথে রিক্সা দিয়ে গিয়েছি,তাই অনেক কিছুই প্রত্যক্ষ করের সুযোগ হয়েছে। সব যেন জোড়ায় জোড়ায় প্রেম করতে বের হয়েছে।চরম মজা পেলাম।সবাই কে দেখে মনে হচ্ছিল যেন…………আমি  actually বলার জন্যে কিছু খুজে পাচ্ছি না।আজকে আর কিছু লিখতে পারব না।আবার মেজাজ গরম হয়ে যাচ্ছে।

………..নিঃশব্দতা………..

আমার কলেজ শুরু হয় ৮ টায়।তাই আমি অনেক কষ্ট করে হলেও ৭-৩০ এর মধ্যে কলেজে উপস্থিত থাকার চেষ্টা করি।এর জন্যে আমকে বাসা থেকে বের হতে হয় ৭ টায়।

আমাদের কলেজে যাওয়ার ২ টা রাস্তা আছে।একটা হচ্ছে গলি ঘুপচির ভিতর দিয়ে।আরেকটা হল প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের সামনে দিয়ে main road হয়ে।সাধারনত গলি টার ভিতর দিয়েই বেশি যাওয়া। হয়।main road টা দিয়ে সকাল ৮ টার আগে পর্যন্ত যাওয়া যায়.

অবাক হয়ে যাচ্ছ???!!!!!!!!……………তাই না!!!!!!!!!!………যে এত ফাউল প্যাঁচাল পারার মানে কি!!!!!!!!!!!!!!হুম্মম্মম্মম্মম……এখন আসল কথায় আসি।

গতকাল আমি এবং আমার ভাইয়া একসাথে কলেগে যাওয়ার জন্যে বের হলাম। শীতটা মোটামুটি কম খারাপ পরেনি। লুকাসের কাছে গিয়ে রিক্সাওয়ালা ও কোন দিকে না তাকিয়ে সোজা টান দিল। আমরাও কিছু বললাম না……যে অনেক দিন এই রাস্তায় যাওয়া হয় না।তারপর শুরু হল আমার আসল কাহিনী।

চারিদিকে কোন শব্দ নেই।শুধু পাখির কিচিরমিচির………আর কিছুটা নিঃশব্দতা।অনেক শীত আর অনেক নিঃশব্দতা।রিক্সার টুং টুং আর শুধু নিঃশব্দতা।joggers দের হালকা কথাবার্তা তবুও যেন শুধুই নিঃশব্দতা।

এই চরম নিঃশব্দতার মাঝে আমি যেন কোথায় হারিয়ে গেলাম।এ যেন ঢাকার নতুন রূপ। ভুলেই গিয়েছিলাম চেনা পরিচিত ঢাকার বাইরেও  আরেকটা ঢাকা আছে। আমি পুরোপুরি মুগ্ধ হয়ে গেলাম।

কিন্তু আমার মনে হয় এই সুন্দর ঢাকা টা অনেকের কাছেই অপরচিত।কারন,কয়জন ই বা আছে যে কিনা সকালের ব্যাস্ততার মাঝে এই প্রকৃতি উপভোগ করার সময় পায়।

আমি ভাগ্যবতী যে এই চমৎকার কিছু মুহূর্ত আমার জীবনে আমি পেয়েছি।

শুকরিয়া আল্লাহ।

……..Habi Jabi……..˙·٠•●

আজ সক্কাল ৭ টায় ঘুম থেকে টেনে তোলা হল………মাহফিল এ যেতে হবে………।

নানুর পীরের বার্ষিক মিলাদ মাহফিল।আম্মু আমাকে নিয়ে যাবেই।ভাইয়া কে নিতে পারছে না কারণ ওর আজকে পরীক্ষা।হরতালের জন্যে যে পরীক্ষাটা পিছিয়েছিল সেটা আজকে হবে।ও তো বেঁচে গেল কিন্তু আমি ফেঁসে গেলাম।কি আর করা।। উঠলাম……।।

তারপর আরেক ঝামেলা…………।

সক্কাল সক্কাল শাওয়ার নিতে হবে………।

আমার তো মাথায় রীতিমত বাজ পরল…………আমি এম্নিতেও শীতকালে শাওয়ার নেওয়ার পক্ষপাতী না……তার উপর এত সকাল বেলা…………।।OMG…..:O

এটা নিয়ে সকাল বেলা একটা মহা গণ্ডগোল।।।যাই হক শেষ পর্যন্ত মা এর কথাই মেনে নিতে হল……। মেজাজ গরম নিয়ে বের হলাম………।।

কিন্তু বাইরে বের হয়েই মনটা ভাল হয়ে গেল…।।

কি সুন্দর আবহাওয়া…..

কুয়াশা……ঠাণ্ডা……আবার কুয়াশা……………।:D

তারপর গেলাম………।

অনেক পবিত্র হয়ে গেল মনটা……সব দিক থেকে হাদিস ভেসে আসছে…সবাই আল্লাহ কে ডাকছে।। আমিও বসে শুরু করে দিলাম…… (ঘুমানো)…।

জুমুয়ার নামাযের সময়টা ছিল অনেক confusing……কে কোন দিক দিয়ে কি করছে কিচ্ছু বুঝতে পারছিলাম না……।

তারপর আবার শুরু করল বিশাল এক মোনাজাত……।অন্তত ৬-৭ বার শেষ করেও যেন শেষ করতে পারছিল না………আমার আশেপাশে সবাই কাদছিল………।।

আর আমি মুখ লুকিয়ে হাসছিলাম………

আমি কি খারাপ………..।।:P

পদ্মা নদীর মাঝি-মানিক বন্দোপাধ্যায় এবং সিস্টার শিখার কিছু ব্যাখ্যা……।

আজকে সকাল বেলা অনেক খুশি মনে কলেজে গেলাম……………অনেক খুশি মনে ক্লাস এ ঢুকলাম।। তারপর মন খারাপ করে বের হয়ে আসলাম………।

কারণ মনে পড়লো যে আমার আজকে সামনে বসার পালা………… তারপর আবার প্রথম পিরিয়ড এই গল্পের বইটা শেষ করে ফেললাম……। মেজাজ টা আরও গরম হয়ে গেলো যখন দেখলাম সিস্টার শিখার ক্লাসে আমি এক্কেবারে সামনে……… কিন্তু কি আর করা……… সাহস করে বসে পরলাম……………।।

তারপর বুঝলাম কত বড় ভুল করলাম………………………।

সিস্টার শিখার ব্যাখ্যা শুনে পুরা মাথা ওলট পালট হয়ে গেল………।।

ভাগ্যিস বেচারা মানিক আঙ্কেল এই ব্যাখ্যা শোনার জন্যে বেঁচে নেই………… তাহলে ১০০% ৩ বার মরার কথা চিন্তা করত……………ব্যপার টা খুলেই বলি…………।

পদ্মা নদীর মাঝি তে একটা লাইন আছে…………। “গ্রামবাসীর প্রয়োজনীয় ও শখের পণ্য সমস্ত মেলায় আমদানি হয় ,এমন কি শহরের নারী-পন্যের আবির্ভাব ঘটিয়া থাকে”

এই লাইন এর নারী-পন্যের যে ব্যাখ্যা উনি দিলেন তা শুনে আমার মাথা ঘুরানো শুরু করলো…… এখানে ……আমার মতে শহরের প্রসাধনী সামগ্রীর কথা বলা হয়েছে……কিন্তু উনি এর ব্যাখ্যা দিল “পতিতা বৃত্তি” হিসেবে…………:D…….

এটা কি শুধু হলি ক্রস কলেজের ই সমস্যা নাকি সৃজনশীলতার কারনে সব শিক্ষক ই এখন সব কিছু কে পেঁচানো শুরু করেছে!!!!!!!!!!!!!!! সোজা একটা জিনিস কে যেন এখন আর সোজা করে দেখা যায় না………………………।।

কিযে হবে বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যাবস্থার………………………।

মন ভাল আছে কি!!!!!!!!!

আমার মন কি এখন ভাল না খারাপ বুঝতে পারছি না………নতুন এক্তা জিনিস শিখলাম……।তাই অনেক  ভাল লাগছে ……আবার অপর দিকে ছলে জেতে হবে তাই খারাপও লাগছে……।। কি করা উছিত??????????