দাঁড়কাকের সংসার কিংবা মাঝে মাঝে তব দেখা পাই……হুমায়ুন আহমেদ

হুমায়ুন আহমেদ এর নতুন কিছু বই এবারের বইমেলায় বেরিয়েছে। বই মেলা শুরু হওয়ার আগে কিছুটা শঙ্কায় ছিলাম যে এবার হুমায়ুন আহমেদের কোন বই বের হবে কিনা। কিন্তু বই মেলা শুরু হওয়ার পর সব শঙ্কা উড়িয়ে দিয়ে তিন টা বই বের হল। আমি আমাদের লাইব্রেরী থেকে এনে ৩ টা বই ই পরে ফেললাম। পড়ার পর ই বুঝতে পারলাম কত বড় ভুল করলাম।

প্রথমে পড়লাম হিমু এবং হার্ভার্ড Ph.D বল্টু ভাই………।। বই টা পড়ে এক কথায় খুব ই বিরক্ত লাগলো। এবং সবার আগে মনে হল হুমায়ুন আহমেদের অসুস্থ মস্তিষ্কের কথা। তাই এত পচা হিমুর বই লেখার জন্যে উনাকে মাফ করা গেল। এই বই টার অনেক জায়গায় তথ্যগত ভুল ছিল। তাছাড়া এখানে হিমুর অলৌকিক ক্ষমতা একটু বেশি ই জাহির করা হয়েছে।

তারপর পড়লাম দাঁড়কাকের সংসার এবং মাঝে মাঝে তব দেখা পাই। পড়ে আমি কিছু মুহূর্তের জন্যে স্তম্ভিত হয়ে গেলাম। আমার মনে হয়েছে উনার মেয়ের কথা উনি গল্প আকারে লিখছেন। বইটা যেন আষাঢ়ে গল্পের সংকলন।

এরপর,মেঘের উপর বাড়ি। উনি মনে হয় বইটা লিখে নিজেও confuse ছিলেন। বইটায় মৃত্যু নিয়ে যে কথাগুলো বলা হয়েছে তা আমার একদম ভাল লাগেনি।

কথার সারাংশ এই যে উনি যদি এই বইগুলো লিখে সময় নষ্ট না করে নিজের সাস্থ্যের দিকে নজর দিলেও ভাল করতেন……।।

………বইমেলা নিয়ে যত কথা…….

ইসসস………গত তিন টা বছর ধরে বই মেলায় যাইনি। তাই এবার ঠিক করেছি গত তিন বারের উসুল তুলবো। এই উপলক্ষে আমার ইতিমধ্যে ২ বার বইমেলায় যাওয়া হয়েছে। এই অভিজ্ঞতার কথাই আজকে লিখছি।

প্রথম গেলাম ফেব্রুয়ারীর ৩ তারিখ।আমার ইচ্ছা ছিল ১,২১ এবং ২৯ তারিখে অবশ্যই বইমেলায় যাব। কিন্তু আব্বুর জন্যে যাওয়া হল না। তাই ৩ তারিখ। নাই মামার চেয়ে কানা মামা অনেক ভাল। যাই হোক, গেলাম ভাইয়া এবং ওর বন্ধু রাতুল এর সাথে। ঐদিন গিয়েছিলাম শুধুই ঘুরতে। তৃতীয় দিনেই দেখলাম মোটামুটি ভিড় হয়েছে। ঘুরলাম আর বই দেখলাম। আর মনে মনে list বানালাম কোন কোন বই কিনব।

এরপর গেলাম গত ১৪ই ফেব্রুয়ারী। গেলাম বন্ধুদের সাথে। কি যে আনন্দ করলাম আমরা, ভাষায় বর্ণনা করা যায় না। আসলে জারা বই পড়েনা তাদের নিয়ে বইমেলায় ঘুরতেও ভাল লাগে না। সেইদিন আমাদের কলেজের এক অনুষ্ঠানের কারনে শাড়ীও পরেছিলাম। পুরো বইমেলা চষে ফেললাম। ৩ টা বই কিনলাম। কিন্তু কষ্ট লাগলো এই জন্যে যে, যে টাকায় বই কিনলাম ওই টাকা টা আমদের এক বন্ধু কে সাহায্য করার জন্যে ছিল। কিন্তু এই ভরসা যে বাবা কে বললে নিশ্চয় টাকা টা দিয়ে দিবে।

যে বইগুলো কিনলাম সেগুলো হল, জোছনা ও জননীর গল্প, এপিটাফ্‌, ওরা তিন জন। এখন, এই মুহূর্তে আমি জোছনা ও জননীর গল্প পড়ছি। এবং চোখের পানি ফেলছি।

ইচ্ছা আছে আরও কয়েকবার বইমেলায় ঢুঁ মারার।দেখি কি হয়।