মানুষ, মরে গেলে পচে যায়, বেঁচে থাকলে বদলায়।

আমার অনেক পছন্দের একটা গান… ” পৃথিবী বদলে গেছে, যা দেখি নতুন লাগে”। বেঁচে থাকলে বদল আসবেই। বদলে যাওয়ার মধ্যেই তোমার বেঁচে থাকার পরিচয় পাওয়া যায়। তেমনি বিশাল পরিবর্তন এসেছে আমার জীবনেও। কিছু পুরোনো সম্পর্ক ভেঙে গেছে, নতুন সম্পর্ক তৈরি হয়েছে , আবার অনেক পুরোনো সম্পর্ক নতুন রূপ পেয়েছে। শুধু সম্পর্কের ক্ষেত্রেই নয়, বদলে গেছি মানসিক দিক দিয়েও। নতুন পথে হাঁটা শুরু করেছি জীবনের ক্ষেত্রে।

পুরনো সম্পর্ক ভেঙে নতুন করে গড়া আমার মত একটা মেয়ের জন্যে অনেক বড় ব্যাপার। অনেক বন্ধুই আজ পাশে নেই। হয়তো পুরোপুরি স্মৃতি হয়ে অতীতের সাথে মিশে গেছে। আবার অনেক মানুষের দেখা পেয়েছি যাদের হয়তোবা সারাজীবন বন্ধু হিসেবে পাশে পাব। পুরোনো বন্ধুত্ব নতুন করে জোড়া লেগেছে। কিছু মানুষকে আবার জীবনে ফিরে পাব কল্পনাও করিনি, অনেক ভালোবাসার সাথে তাদের ফিরে পেয়েছি।

নতুন নতুন বিশ্ববিদ্যালয় জীবন শুরু করেছি। স্বপ্নের ভার্সিটিতে পড়ছি। স্বপ্নকে হাতের মুঠোয় পেয়ে মোটামুটি একটা হাবুডুবু খেয়ে নিয়েছি। আপাতত ভবিষ্যৎ চিন্তায় (দুশ্চিন্তায়) বিভোর। আসলে সব কথার শেষ কথা, দিনের শেষে মুখে হাসি নিয়ে ঘুমোতে যেতে পারছি।

 

কিছু কথা…..

নতুন বছর এসে গেল। আসবেই তো। ওর তো আর কোন পিছুটান নেই।শুধুই চোখ বন্ধ করে এগিয়ে যাওয়া। উফ কোত্থেকে কোথায় এসে পরলাম। আসলে বই পরার এই এক ঝামেলা। সব কিছুতেই ভাবুক ভাবুক ভাব চলে আসে।যাই হোক, অনেক দিন পর লিখতে বসলাম।

পুরানো বছরটা ভাল খারাপ মিলানো একটা বছর ছিল। কিন্তু হ্যাঁ, বছরের শেষটা অনেক অন্যরকম ছিল। এই experience এর কথাই লিখছি।

আমি ২৬শে ডিসেম্বর বাসা থেকে বের হয়ে গিয়েছিলাম। মানে আর কি ভাইয়ার সাথে রাগ করে ব্যাগ ট্যাগ গুছিয়ে ভো কাট্টা। এটা আমার জন্যে যতটা adventurous ছিল, ঠিক ততটাই ভয়ংকর ছিল আমার family এর জন্যে। আমি জানি যে আমি যে কাজ টা করেছি তা ঠিক করিনি। আবার আমার মতে এটুকু না করলে হয়ত এই নতুন বছরটা এত নতুন ভাবে শুরু হত না।

এবার মূল কথায় আসি।বাসা থেকে বের হয়ে সোজা বাসে উঠে বাড়িতে চলে গিয়েছিলাম। কয়েকদিন দারুণ মজা করে আসলাম। যদিও বাসে উঠা থেকে নামা পর্যন্ত আমি অত্যন্ত উদ্বিগ্ন ছিলাম। কারন আমি প্রথমবারের মত একা এতদূর ভ্রমন করলাম। ভাগ্যের কৃপায় বাড়ির রাস্তা টা আমার চেনা ছিল। এবং আল্লাহর ও রহমত ছিল যে পথে কন বিপদে পরিনি। বাড়িতে গিয়ে একটা কাজ ই করেছি। সেটা হল movie দেখা। ওখান থেকে আমি ইন্ডিয়ান বাংলা ছবির ছোটখাটো বিশেষজ্ঞ হয়ে এসেছি। আরেকটা কাজ করেছি। সেটা হল byke চালানো শেখা। ইনশাল্লাহ আরেকবার বাড়িতে গিয়ে skilled হয়ে আসব। 😀

সব কটা জানালা খুলে দাও না………♥ ♥ ♥

গানটা শুনলেই কেন জানি অনেক কান্না পায়।চোখের পানি আটকানো কষ্টকর হয়ে পরে। এই গানটার সাথে সাবিনা ইয়াসমিনের voice-টা পুরোপুরি match।

suddenly এই গানটার কথা লিখছি………আসলে suddenly না………আজকে ক্লাস করের সময় গানটা শুনলাম। পুরাই senti হয়ে গেলাম।

আজকে ছিল holy cross school এর বার্ষিক result। school এ সাধারনত result দেওয়া হয় ১৬ই ডিসেম্বরের পর। তাহলে ,এক ঢিলে দুই পাখি মারার মত , বিজয় দিবস আর annual function টা একসাথে হয়।এই অনুষ্ঠানেই ৫২-র ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে ৭১-এর মুক্তিযুদ্ধ পুরাটা তুলে ধরা হয়েছে।আমরা act টা দেখতে পারিনি। ক্লাস চলছিল। কিন্তু গানগুলো স্পষ্ট শোনা যাচ্ছিল।আমার কাছে ক্লাস করার চেয়ে গানগুলোই বেশি enjoyable ছিল।তাই hoody তুলে দিয়ে চোখ বন্ধ করে গান  enjoy করছিলাম।

আরও মজা লাগলো , গানগুলো চলার সময়ই আফরিন মিসের বাংলা ক্লাস শুরু হল।মিসের আবার পড়ানোর বিষয় ছিল “বাংলাদেশ” কবিতাটি।

এই মিস কে নিয়ে কিছু বলে আবার আগের প্রসঙ্গে যেতে চাই।আমাদের কলেজের কিছু বিচ্ছিরি  rules এর মধ্যে একটা  হল বাংলা আর english এর জন্যে ৪-৫ টা teacher। এর মধ্যে (আমার মতে) best teacher হচ্ছেন আফরিন আহাদ মিস।wot a great personality!!!!!! মিসের কথা গুলো শুনলে শুধু শুনতেই ইচ্ছা করে। সবচেয়ে মজা লাগে,মিসের insult করার style। মস যে actually ভদ্র ভাষায় আমাদের ধিক্কার দিচ্ছে তা আমরা হাতে গোনা কয়েকজন ছাড়া বুঝতে ই পারে না। তাছাড়া মিসকে আমার এই জন্যেও ভাল লাগে যে, উনার point of view যেন একেবারে  same to same………

মিসের কথা এখানেই stop করা উচিত।উনার কথা অন্য কোন লেখায় details এ বলতে হবে। এখন আগের কথায় ফিরে আসি।

মিস যখন “বাংলাদেশ” কবিতা তখন ই গানগুলো শুরু হয়েছিল। পড়ার বিষয়বস্তুর সাথে পুরোপুরি মিলে গেল।মিস ও আমাদের সুবিধার  জন্যে গানগুলোর প্রেক্ষাপটের সাথে মিলিয়ে কবিতা পড়ানো শুরু করলেন।মিস ৭১-এর ব্যাখ্যা দেওয়ার সময় একটা বইয়ের কথা বলল। বইতা কিশোর পারেক নামে একজন photojournalist সিঙ্গাপুর থেকে প্রকাশ করেছিলেন। স্বাধীনতার সত্য ছবিগুলো ছিল এখানে। এই বইয়ের যতগুলো কপি বাংলাদেশে  ছিল তার একটি বাদে সবগুলো নষ্ট করে ফেলা হয়েছে। এই বইয়ের একমাত্র কপিটি আছে মিসের বোনের husband এর কাছে। আমার এখন মিসের কাছ থেকে বই টি নিয়ে দেখতে প্রচণ্ড ইচ্ছা করছে। দেখি মিসকে প্রস্তাব দিয়ে, মঞ্জুর করেন কিনা।

আরও এক্তা মজার co-incident হল,তখন আমি দস্যু বনহুরের যে অংশে ছিলাম সেই অংশেও বনহুর বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিতে এসেছিল।এই কাকতালীয় ব্যাপার তা আগে লক্ষ্য করিনি। এই মাত্র বইটার দিকে চোখ পড়ল তাই মনে পরল।

দারুণ মজা পেলাম co-incident টায়।

আমরা কি সত্যিই স্বাধীন…!!!!!!!!!!!!!!

আজকে ঘুম থেকে উঠে মেজাজটা খারাপ হয়ে গেল। সকাল সকাল শুরু হয়ে গেছে ভাষণ।এই ভাষণ কি শুধু ১৬ই ডিসেম্বর এর জন্যেই specially তুলে রাখা হয়!!!!!!!!!………..সারা বছর কি কেউ একবারের জন্যেও এটা শোনে!!!!!!!!……

এই কথা গুলো ১৬ই ডিসেম্বর রাতে লিখে draft এ save করে চলে গিয়েছিলাম। এইটুকু লিখেই সব কথা  মনে পরে মেজাজ খারাপ হয়ে গিয়েছিল।আজকে তাই লিখাটা শেষ করতে বসলাম।

স্বাধীনতা……এই শব্দটা শুনলেই আমদের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের কথা মনে পরে। সেই শহীদদের আত্মত্যাগের কথা।সেই সময়ের মা বোনদের অসহনীয় কষ্টের কথা।আরও কত ঘটনা যে আছে পর্দার পিছনে। চিন্তা করলেও শরীর শিরশির করে ওঠে।

কিন্তু আমার মনে এর পরেও কিছু কথা আসে।আমার নানুভাই এবং চাচ্চু ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা। তারা কি আজকের দিনের জন্যে এতো কষ্ট করে যুদ্ধ করেছে।আমার আজকের বাংলাদেশ দেখে অনেক কান্না আসে।সবচেয়ে বেশি কষ্ট লাগে যখন দেখি মানুষকে দেখি রাস্তাঘাট নোংরা করতে।আমি কেন জানি এই জিনিসটা দুই চোখে দেখতে পারিনা।

আরেকটা মজার জিনিস মনে পরল।lovebird দের কথা……

ওইদিন ইংলিশ স্যার এর কচিন-এ যাওয়ার জন্যে বের হয়েছি।জায়গাটা হচ্ছে elephant road-এ।আম্মুর সাথে রিক্সা দিয়ে গিয়েছি,তাই অনেক কিছুই প্রত্যক্ষ করের সুযোগ হয়েছে। সব যেন জোড়ায় জোড়ায় প্রেম করতে বের হয়েছে।চরম মজা পেলাম।সবাই কে দেখে মনে হচ্ছিল যেন…………আমি  actually বলার জন্যে কিছু খুজে পাচ্ছি না।আজকে আর কিছু লিখতে পারব না।আবার মেজাজ গরম হয়ে যাচ্ছে।

……..Habi Jabi……..˙·٠•●

আজ সক্কাল ৭ টায় ঘুম থেকে টেনে তোলা হল………মাহফিল এ যেতে হবে………।

নানুর পীরের বার্ষিক মিলাদ মাহফিল।আম্মু আমাকে নিয়ে যাবেই।ভাইয়া কে নিতে পারছে না কারণ ওর আজকে পরীক্ষা।হরতালের জন্যে যে পরীক্ষাটা পিছিয়েছিল সেটা আজকে হবে।ও তো বেঁচে গেল কিন্তু আমি ফেঁসে গেলাম।কি আর করা।। উঠলাম……।।

তারপর আরেক ঝামেলা…………।

সক্কাল সক্কাল শাওয়ার নিতে হবে………।

আমার তো মাথায় রীতিমত বাজ পরল…………আমি এম্নিতেও শীতকালে শাওয়ার নেওয়ার পক্ষপাতী না……তার উপর এত সকাল বেলা…………।।OMG…..:O

এটা নিয়ে সকাল বেলা একটা মহা গণ্ডগোল।।।যাই হক শেষ পর্যন্ত মা এর কথাই মেনে নিতে হল……। মেজাজ গরম নিয়ে বের হলাম………।।

কিন্তু বাইরে বের হয়েই মনটা ভাল হয়ে গেল…।।

কি সুন্দর আবহাওয়া…..

কুয়াশা……ঠাণ্ডা……আবার কুয়াশা……………।:D

তারপর গেলাম………।

অনেক পবিত্র হয়ে গেল মনটা……সব দিক থেকে হাদিস ভেসে আসছে…সবাই আল্লাহ কে ডাকছে।। আমিও বসে শুরু করে দিলাম…… (ঘুমানো)…।

জুমুয়ার নামাযের সময়টা ছিল অনেক confusing……কে কোন দিক দিয়ে কি করছে কিচ্ছু বুঝতে পারছিলাম না……।

তারপর আবার শুরু করল বিশাল এক মোনাজাত……।অন্তত ৬-৭ বার শেষ করেও যেন শেষ করতে পারছিল না………আমার আশেপাশে সবাই কাদছিল………।।

আর আমি মুখ লুকিয়ে হাসছিলাম………

আমি কি খারাপ………..।।:P

মন ভাল আছে কি!!!!!!!!!

আমার মন কি এখন ভাল না খারাপ বুঝতে পারছি না………নতুন এক্তা জিনিস শিখলাম……।তাই অনেক  ভাল লাগছে ……আবার অপর দিকে ছলে জেতে হবে তাই খারাপও লাগছে……।। কি করা উছিত??????????